Monday, February 4, 2019

কীভাবে বুঝবেন একটু পর এখানে বজ্রপাত হবে? জেনে নিন এক অসাধারণ কৌশল!


সরাসরি শরীরের উপর বজ্রপাত হলে বাঁচার কোনো সম্ভাবনা নেই। আর আশেপাশে হলেও গুরুতরভাবে ঝলসে যেতে পারে শরীরের অনেকাংশ। কিন্তু ধরুন, নির্জন রাস্তায় অথবা ফাঁকা মাঠ দিয়ে যাচ্ছেন, হঠাৎ ঝড় বৃষ্টি আর বিদ্যুৎ চমকানি শুরু হয়ে গেল। বুঝতে পারছেন না কী করবেন। ভয় হচ্ছে, কখন মাথার উপর বাজ পড়ে! আগে থেকে বুঝারও তো উপায় নেই।
জানা থাকলে না হয় একটা ব্যবস্থা নেয়া যেত। কাছাকাছি কোথাও গিয়ে আশ্রয় নেয়ারও সুযোগ থাকতো। এটা কিন্তু ভুল ধারণা, কপাল খারাপ হলেও বজ্রাহত হওয়ার আগে অন্তত মিনিটখানেক সময় আপনি পেতে পারেন। অর্থাৎ প্রকৃতির ‘রোষ’ আপনার মাথায় পড়ার আগে একটা শেষ সতর্কবার্তা পাওয়ার সুযোগ আছে। তাহলে কীভাবে বুঝবেন এখনই আপনার আশেপাশে বজ্রপাত হতে যাচ্ছে? বজ্রপাত যেহেতু একটি বৈদ্যুতিক ঘটনা, সেহেতু সতর্কবার্তাটাও সেরকম হবে।
বজ্রপাতে কয়েকমুহূর্ত আগমুহূর্তে ওই এলাকার বাতাস বিদ্যুতায়িত হয়ে যায়। এ কারণে খেয়াল করবেন আপনার মাথার চুল শরীরের লোম খাড়া হয়ে যাচ্ছে। শরীর একদম সোজা হয়ে স্থির হয়ে যেতে চাচ্ছে। তখনই বুঝবেন ভয়াবহ বিপর্যয় আসছে। যেমনটি চুল আচড়ানোর পর চিরুনি মাথার কাছাকাছি নিলে চুল খাড়া হয়ে যায়।
সঙ্গে সঙ্গে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিন।
কাছকাছি বাড়িঘর বা কোনো ভবন থাকলে ঢুকে পড়ুন। একেবারে ফাঁকা মাঠে থাকলে তাৎক্ষণিকভাবে বসে মাটি স্পর্শ না করে যতোটা সম্ভব মাটির কাছাকাছি থাকুন। খেয়াল করবেন আপনার ভেজা কাপড় বা শরীরের কোনো অংশ যেন মাটি স্পর্শ না করে। খালি পা থাকলে জুতা পরে নিন।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Sunday, February 3, 2019

বজ্রপাতে সচেতনতামূলক পরামর্শ


বজ্রপাতের সময় সাবধান হোন; জেনে নিন কী করবেন-
১. দালান বা পাকা ভবনের নিচে আশ্রয় নিতে হবে।
২. উঁচু গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি থেকে দূরে থাকতে হবে।
৩. জানালা থেকে দূরে থাকতে হবে।
৪. ধাতব বস্তু স্পর্শ করা যাবে না। যেমন কল, সিঁড়ির রেলিং, লোহার পাইপ—এসব। এমনকি ল্যান্ড লাইন টেলিফোনও ধরা যাবে না।
৫. বিদ্যুৎচালিত যন্ত্র থেকে সাবধান থাকতে হবে। টিভি, ফ্রিজ এসবের প্লাগ খুলে রাখতে হবে।
৬. গাড়ির ভেতরের ধাতব বস্তু এমনকি গাড়ির কাচেও হাত দেওয়া যাবে না।
৭. খোলা ও উঁচু জায়গা থেকে সরে আসতে হবে।
৮. পানির কাছ থেকে দূরে সরে যেতে হবে।
৯. কয়েকজন মিলে খোলা কোনো জায়গায় থাকলে বজ্রপাত শুরু হওয়ামাত্র ৫০ থেকে ১০০ ফুট দূরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যেতে হবে।
১০. খোলা জায়গায় থাকলে কানে আঙুল দিয়ে নিচু হয়ে বসতে হবে। চোখ বন্ধ রাখতে হয়। তবে মাটিতে শুয়ে পড়া যাবে না। শুয়ে পড়লে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার আশঙ্কা বাড়বে।
১১. বজ্রপাত আচমকা হয় না। এর কিছু লক্ষণ আছে। বিদ্যুতের প্রভাবে মাথার চুল খাড়া হয়ে যাবে, ত্বক শিরশির করবে। আশপাশের ধাতব পদার্থ কাঁপতেও পারে। অনেকেই তখন ‘ক্রি ক্রি’ শব্দ শুনতে পায়। এমনটা অনুভব করামাত্রই নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটে যেতে হবে।
১২. বজ্রপাতের সময় চামড়ার ভেজা জুতা বা খালি পায়ে না থেকে বিদ্যুৎ অপরিবাহী নিরাপদ রাবারের জুতা পরতে হবে।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness